উখিয়ার সন্তান মাসুদ উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হলেন

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং এর খন্দকার পাড়ার কৃতিসন্তান সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি বর্তমানে ঢাকাস্থ ফরেন সার্ভিস একাডেমির অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

ফরেন সার্ভিস ক্যাডারের গর্বিত সদস্য সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ উখিয়ার রত্নাপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহমদ ও মুন্নুজান আহমদের জ্যৈষ্ঠ সন্তান। ৪ ভাই ৪ বোনের মধ্যে সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ সবার বড়। সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ ১৯৮০ সালে উখিয়া উপজেলার পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় হতে প্রথম শ্রেণীতে এসএসসি পাশ করেন। ১৯৮২ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ হতে এইচএসসি পাশ করেন কৃতিত্বের সাথে। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স, মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। অনার্স মাস্টার্সে তিনি দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রথম হন। তখনকার সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম শ্রেণিতে কেউ উত্তীর্ণ হতোনা। অসাধারণ মেধাবী সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ দশম বিসিএস (পররাষ্ট্র) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের সবচেয়ে অভিজাত ক্যাডার হিসাবে পরিচিত বিসিএস ফরেন সার্ভিসের গর্বিত সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

চাকুরীজীবনে তিনি ফ্রান্স, ফিলিপাইন, কানাডা, কাতার, ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ও দূতাবাসে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছেন। চট্টগ্রাম শহরের তাহমিনা খানমকে তিনি জীবনসঙ্গী হিসাবে বেচে নেন। সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ ও তাহমিনা খানম দম্পতির সাবাব মাহমুদ খন্দকার ও ইভান মাহমুদ খন্দকার নামক ২ পুত্র সন্তানের জনক ও জননী। সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ এর অন্য ৩ ভাই হলেন-সৈয়দ ফরহাদ মাহমুদ খন্দকার, সৈয়দ মেহেদী মাহমুদ খন্দকার, সৈয়দ তানভীর আহমদ খন্দকার। তাদের এক বোন ইয়াসমিন আক্তার কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছারের সহধর্মিণী। সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ এর পিতা ফরিদ আহমদ খন্দকার ১৯৮৮ সালে কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসাবে গোল্ড মেডেল পান।

উখিয়ার রত্নাপালং এর আরেক কৃতি সন্তান সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব, বর্তমানে বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল আলম হচ্ছেন ফরিদ আহমদ খন্দকারের একজন ছাত্র।